ভোলায় নবদম্পতির উপর হামলার ঘটনায় আটক-২

ভোলা প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ১১:২৮ এএম

ভোলার তুলাতলি পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাওয়া নবদম্পতির উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনায় ‍‍`ভাইয়া ২০২০‍‍` গ্রুপের দুই সদস্যকে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব-৮ সদস্যরা।

শনিবার (১৫ ফ্রেবুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফারহান-৪ লঞ্চ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

র‍্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট মো. শাহরিয়ার রিফাত অভি (এক্স) বিএন গণমাধ্যম কে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃত দুই আসামি হলেন- ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকার মৃত রানা মিয়ার ছেলে মো. আরমান (১৯) হোসেন এবং অপরজন ধনিয়া ইউনিয়নের পরির হাট এলাকার মো. ইউছুফ মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৮) আহমেদ।

এদের মধ্যে আরমান মামলার এক নম্বর আসামি এবং হৃদয় চার নম্বর আসামি। এদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপের নাম ‍‍`ভাইয়া ২০২৯‍‍` গ্রুপ। গ্রুপের প্রধান আরমান।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মূলত আরমান হোসেন কিশোর গ্যাং গ্রুপের লিডার। তার নেতৃত্বে একদল কিশোর একত্রিত হয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে জেলা শহরের তুলাতলি পর্যটন কেন্দ্র, ইলিশা মেঘনা রিসোর্ট, বাংলাবাজার ইকোপার্ক, দৌলতখানের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বিনোদন কেন্দ্রসহ জেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে গিয়ে ঘুরতে যাওয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করত তারা। এরা দামি ব্যান্ডের মোটরসাইকেল উচ্চশব্দে চালিয়ে সাধারণ মানুষকে বিরক্তও করত।

ওই সূত্রটি আরো জানায়, গেল জানুয়ারি মাসে ওই গ্রুপের ৩ সদস্য চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ারে গিয়ে সেখানেও কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে তারা উত্ত্যক্ত করেছিল। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আটকে শাসন করে ভোলায় পাঠিয়ে দেয়। তাদের ১৫ থেকে ২০ জনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপের নাম ‍‍`ভাইয়া ২০২০‍‍` গ্রুপ। জানা গেছে, ২০২০ সালে তারা তারা একত্রিত হয়ে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি খোলে। যাঁর জন্য গ্রুপের নাম দিয়েছে ‍‍`ভাইয়া ২০২০‍‍`।

প্রসঙ্গত, গেল ৯ ফ্রেবুয়ারি ভোলা সদর উপজেলার তুলাতলি পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গিয়ে ওই কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হন নবদম্পতি রেদোয়ান ও তার স্ত্রী নুপুর আক্তার। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এই নবদম্পতির পথ গতিরোধ করে তাদের ফোনে অশ্লীল ভিডিও আছে দাবি করে টাকা চায়। নবদম্পতি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

পরে এ ঘটনায় রেদোয়ান বাদী হয়ে সদর থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান। শনিবার রাতে ফারহান-৪ লঞ্চ করে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি ভোলায় আসলে র‍্যাব তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ মামলার অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও র‍্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কে জানানো হয়েছে।

বিআরইউ