বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি এবং জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে না দিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজপথে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া হবে।
মঙ্গলবার বিকালে নোয়াখালীতে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এ টি এম মাছুম বলেন, "বিশ্বের জনগণ জানে, ১৩ বছর আগে স্বৈরাচারী হাসিনার অন্যায়, জুলুম ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করার কারণে এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে যেতে হয়েছে। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। কেন তার মুক্তি আটকে রাখা হয়েছে, তা দেশের জনগণ জানতে চায়।"
মাওলানা মাছুম আরও বলেন, "বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের যে বিচার হয়েছে, তা আইনি ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ নয়। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে অনেক সৎ ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তারা ন্যায্য বিচার পাননি, এ দেশের মানুষ তার সাক্ষী।"
বাংলাদেশকে গত ১৬ বছর ধরে এক বৃহৎ কারাগারে পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এই কারাগার চার দেয়ালের কারাগারের চেয়েও বেশি ভীতিকর ছিল। বাংলাদেশে মানুষ গ্রেফতার আতঙ্কে ঘুমাতে পারেনি। ক্ষমতায় এসে শুধু দেশকে ধ্বংসই করেনি, প্রশাসনকেও দলীয়করণ করেছে। সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করা হয়েছে ইসলাম, মুসলিম জাতিসত্তা, আলেম-ওলামা ও ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার ওপর।"
নোয়াখালী জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চল টিমের সদস্য ও সাবেক নোয়াখালী জেলা আমির মাওলানা আলাউদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমির মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, মো. ইসমাইল হোসেন মানিক, নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট তাজুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নোয়াখালী জেলা সভাপতি এডভোকেট জহিরুল আলম এবং নোয়াখালী শহর আমির মাওলানা মো. ইউসুফ। এছাড়া ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ