নড়াইলে মতুয়া উৎসব ও হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতুয়া রত্ন অসিম পালের পিতা, মাতার ও মেজো দাদার স্মৃতি স্মরণে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ৭০টি মতুয়া দলের সমাগম হয়।
ঢাক, ঢোল, সানাইয়ের সুরে অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে তোলেন ধর্মপ্রাণ ভক্তরা। যা দেখতে জেলা শহর থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষরা ছুটে আসেন। ১০ হাজারেরও অধিক লোকের খাবারের আয়োজন করা হয় এই মতুয়া সম্মেলনে। মতুয়া উৎসব ঘিরে ধর্মীয় নানা আয়োজন শেষে আলোচনা সভা হয়।
মতুয়া রত্ন দিলিপ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার উদ্বোধক ছিলেন শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি, মতুয়াচার্য শ্রী পদ্মানাভ ঠাকুর। এ সময় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন, মতুয়া মাতা সুর্বনা ঠাকুর।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট সাধারণ সম্পাদক বাবু সমীর কুমার বসু, প্রধান বক্তা মতুয়া মিশনের কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতুয়া তিতাস বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নড়াইল জেলা শাখার আহ্বায়ক সাংবাদিক অশোক কুন্ডু, সদস্য সচিব কার্তিক দাস প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনায় ছিলেন, মতুয়া দেব মজুমদার।
ধর্মীয় এ উৎসব ঘিরে রায়খালীতে গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসে। কেনাকাটা ছিল দর্শনীয়।
মেলা দেখতে আসা রুম্পা পাল বলেন, "এখানে প্রতি বছর মতুয়া উৎসবে আসি। মেলা দেখি। হাজার হাজার মানুষ এ মেলাতে আসেন। মা ও ছোট বোনকে নিয়ে এসেছি, ভালোই লাগছে।"
আগদিয়া থেকে আসা মতুয়া পিষুস বিশ্বাস বলেন, "রায়খালির এ মতুয়া উৎসব অনেক নামকরা। আমরা আগদিয়া থেকে মতুয়া দল নিয়ে এখানে অনুষ্ঠান করতে এসেছি।"
মতুয়া রত্ন অসিম পাল বলেন, "পিতা, মাতা ও মেজো দাদার স্মরণে আমি এ অনুষ্ঠান করি। মতুয়া এ উৎসবে ভক্তদের আগমনে আমাদের এ গ্রামটি উৎসবের আমেজে মেতে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা দিনশেষে রাতে এখানে কবি গানের আয়োজন করেন।"
ইএইচ