ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে চট্টগ্রামে।প্রশাসন চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি।আজ রবিবার নগরীর চেরাগি পাহাড় এলাকায় একটি গুদাম থেকে দেড়শ কার্টুন গুদামজাত সোয়াবিন তেল উদ্ধার করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।গুদামজাত করা সোয়াবিন তেলের মালিক শরীফ স্টোর।তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে সোয়াবিন তেল গুলো বিক্রি করান।এতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে সোয়াবিন তেল নিয়ে যায়।দোকান মালিক দোকানে সোয়াবিন তেল প্রদর্শন না করে গুদামজাত করেন।
এতে ক্রেতারা সোয়াবিন তেল না পেয়ে চলে যাওয়ার মুহূর্তে দাম বেশি দেওয়ার শর্তে গুদাম থেকে সোয়াবিন তেল দেন দোকানি।এ সুযোগে ৩০-৪০ টাকা লিটার প্রতি বেশি দাম নেন বলে অভিযোগ ক্রেতার।প্রতি লিটার সোয়াবিন তেল ২শ টাকা দুই লিটার নিলে পাইকারি ৩৮০ টাকা নেন।তবে জরিমানা গুনা শরিফ স্টোর মালিকের দাবি,সে বাড়তি দামে ক্রয় করেন বলে বাড়তি দামে বিক্রি করেন।আমাদের মতো দোকানি যে সোয়াবিন তেল মজুত করেছে, তা ব্যবসায়িকভাবে মজুত বলেনা।যারা রাঘব বোয়াল তাদের কিছু করতে পারেনা।আমাদের মতো দোকানিকে জরিমানা করে এবং মিডিয়া ডেকে ক্রেডিট নেওয়া ও ব্যাবসায়িক সম্মান ক্ষুণ্ন করে তারা জনগণের কাছ হিরো সাজে।
আমাদের মতো চুনোপুঁটি ধরে জনগণের চোখে ধুলো দিচ্ছে।হিরো সাজতে হলে,চাক্তাই খাতুনগঞ্জ রিয়াজুদ্দিন বাজার ও বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানিকে ধরতে বলেন।তখন বুজা যাবে কত ধানে কত চাউল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানদার বলেন,বড় ব্যবসায়ী ও কোম্পানির সাথে তাদের গোপন আঁতাত রয়েছে।সুতরাং রক্ষক হচ্ছে ভক্ষক।গরিব ব্যবসায়ীকে মেরে বড় ব্যবসায়ীকে বাঁচিয়ে দেন।
চট্টগ্রাম ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, দোকানদার রূপ চাঁদা সোয়াবিন তেল থাকার পরেও ক্রেতাকে নেই বলেন।কিন্তু পিছনে আছে।১১শ টাকার তেল ৮শ টাকায় পেয়ে মহাখুশি অভিযানের সময় উপস্থিত ক্রেতারা।
অন্যদিকে, “স্বপন এন্টারপ্রাইজ”-কে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এখানে দোকানের মূল্য তালিকা মুছে দিয়ে তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার ঘটনা সামনে আসে। এ সময় ওই দোকানে কোন সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া না গেলেও পাশের দোকান মালিকের বাসায় প্রচুর তেলের বোতল উদ্ধার করা হয়।
আরএস