আমীর খসরু

দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে নির্বাচিত সরকার আনতে হবে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে আমার খুব বেশি প্রত্যাশা নেই। দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে জনগণের নির্বাচিত সরকার আনতে হবে। যাদের রাজনৈতিক ওজন রয়েছে। যাদের জনগণের সমর্থন আছে। শেখ হাসিনা নির্বাচিত ছিল না। তাই সেসময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ছিল। আইনশৃঙ্খলাও নিয়ন্ত্রণে ছিল না। 

আমীর খসরু বলেন,  খুন-গুম চলেছে নির্দ্বিধায়। সুতরাং জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই ধরনের সমস্যার সামাধান হবে না।  যেই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে না, জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে না, সেই ধরনের সরকার ব্যাতীত পরিবর্তন সম্ভব নয়। এজন্য নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহক।

তিনি বলেন, কিছু কিছু নতুন বয়ান সৃষ্টি হচ্ছে। ছাত্রনেতাদের সেই বয়ানে মনে হয়, আন্দোলনটাকে তারা হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বিএনপির অবদান থাকার পরও বিএনপি এই আন্দোলনকে হাইজ্যাক করতে চায় না। এই আন্দোলনের সফলতা বাংলাদেশের মানুষের সফলতা।

সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্ত মঞ্চে জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুম, হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ৬০-৭০ লাখ মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে ও জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে। নেতাকর্মীরা তাদের চাকরি-ব্যাবসা হারিয়েছে। এসব সহ্য করেছে বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য।

আমীর খসরু বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মীরা জেলে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি পঙ্গুত্ববরণ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। যারা ১৬ বছরের এই ত্যাগকে অস্বীকার করে। এই ত্যাগেই বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে-পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা,

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহমুদ শ্যামল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।

আরএস