শহীদ নুর আলমের স্ত্রীকে চাকরি দিল কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ২০ জুলাই পুলিশের গুলিতে ঢাকায় শহীদ হন নুর আলম।

এদিকে শহীদ নুর আলমের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। ছেলেটি তার বাবাকে দেখতে পায়নি, কারণ জন্মের ২ মাস আগে তার পিতা শহীদ হন। স্বামীর মৃত্যুর পর নুর আলমের অসহায় স্ত্রী খাদিজা তার সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে নিয়ে দুচোখে চারিদিকে অন্ধকার দেখতে পায়।

এরকম অবস্থায় তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহ. রাশেদুল ইসলাম। খাদিজা অষ্টম শ্রেণী পাশ হওয়ায় তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মেয়েদের হোস্টেলে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচিচর মুন্সিপাড়া এলাকায় অসহায় কৃষক বাবার বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে থাকে খাদিজা বেগম।

এর আগে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে তার জন্য কিছু সাহায্য করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা।

পরে খাদিজার অসহায়ত্বের কথা জানতে পেয়ে গত মঙ্গলবার তিনি অসহায় খাদিজা বেগমকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহ. রাশেদুল ইসলাম।

খাদিজার পুত্র সন্তানকে কোলে তুলে নেন, এ সময় তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন এবং তাকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার করেছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর রাশেদুল ইসলাম।

খাদিজা অষ্টম শ্রেণী পাশ হওয়ায় তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মেয়েদের হোস্টেলে কাজের ব্যবস্থা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম চর উন্নয়ন কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব সাংবাদিক আশরাফুল হক রুবেল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দেওয়ান এনামুল হক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, ডা. বাঁধন প্রমুখ।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহ. রাশেদুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ২০ জুলাই ‘২৪ পুলিশের গুলিতে ঢাকায় শহীদ নুর আলমের স্ত্রীর চাকরি অস্থায়ী ভিত্তিতে মেয়েদের হোস্টেলে দেওয়া হয়েছে।

ইএইচ