‘মেধা ও মননে সুন্দর আগামী’ প্রতিপাদ্য স্লোগানকে ধারণ করে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) বাস্তবায়নে কৈশোর কর্মসূচি` করিমগঞ্জ উপজেলা কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী, উপজেলার বারোটি কর্ম এলাকার মধ্যে এগারোটিতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হয়।
বুধবার সকালে করিমগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয় হলরুমে উপজেলার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে প্রবন্ধ-রচনা প্রতিযোগিতা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রিকেট ও পাঞ্জা খেলা (আর্ম রেসলিং) প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন করিমগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক জুনায়েদ আলম খান।
সভাপতিত্ব করেন দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) কিশোরগঞ্জ-২ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. সজল মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রতিনিধি নার্গিস আক্তার ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) করিমগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিন, জাফরাবাদ ইউনিয়নের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার, কলেজ শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বাধীন আহম্মেদ প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন করিমগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও প্রভাষক সাইফুর রহমান।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, কৈশোর কর্মসূচি` দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এর করিমগঞ্জ উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার মো. জুয়েল খান।
কর্মসূচির আয়োজকরা জানান, কৈশোর মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। যে কারণে তাদের সচেতন ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন।
অতিথিরা ডিএসকে ও পিকেএসএফকে ধন্যবাদ জানান কৈশোর কর্মসূচি আয়োজন করার জন্য। কিশোর-কিশোরীদের মেধার পাশাপাশি শারীরিক উন্নতি হচ্ছে বলেও জানান। এছাড়াও এই ধরনের আয়োজন বেশি বেশি করার জন্য বলেন অতিথিরা।
ইএইচ