পঞ্চগড়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তেঁতুলিয়ার দুই ছাত্র সমন্বয়ককে বহিষ্কার করেন। এর প্রতিবাদে আজ সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, অযৌক্তিকভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা এই বহিষ্কারকে প্রত্যাখ্যান ও পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বিকে তেঁতুলিয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার চৌরাস্তা বাজারে সর্বস্তরের ছাত্র সমাজের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তার অপসারণের কর্মসূচির ডাক দেওয়ার কারণে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলার সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি হযরত আলী ও ওবায়দুল হককে বহিষ্কার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র প্রতিনিধি হযরত আলী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও বহিষ্কার আদেশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, "আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম তেঁতুলিয়ায়। আমি জীবনের মায়া ত্যাগ করে সে সময় ছাত্র জনতাকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমরা লক্ষ করেছি, যখনই আমরা এই উপজেলার ইউএনওকে অপসারণের দাবি তুলি, তখনই ফজলে রাব্বি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ান। আমরা তাকে তেঁতুলিয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। তিনি আমাকে কিসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করলেন, এটি জানতে চাই।"
ওবায়দুল হক বলেন, "আমরা শুরু থেকে ছাত্র জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তেঁতুলিয়ায় আন্দোলন করেছি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। আমরা আন্দোলন করেছি তেঁতুলিয়ায়, অথচ যারা সেখানে ছিলেন না, তারা এখন নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করছেন এবং শিবির কর্মীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। ফজলে রাব্বি আমাদের বহিষ্কার করার যোগ্যতা রাখেন না।"
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনকারী শাহিনুর রহমান সবুজ, সাধারণ শিক্ষার্থী রাব্বি হাসান হৃদয়, মো. মাহি প্রমুখ।
ইএইচ