সিলেট মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব চৌধুরী মাধবকে চাঁদা না দেয়ায় দুই হকারকে উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগে ও তাদের মুক্তির দাবিতে নগরীর জিন্দাবাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন হকাররা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা থেকে নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে শতাধিক হকার সড়ক অবরোধ করেন। এসময় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও ধাওয়া করা হয়।
এই ঘটনার পরপর যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি মাধবকে যুবদল থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করেছে।
আন্দোলনরত হকারদের অভিযোগ, সম্প্রতি হকারদের দাবী চাঁদা দাবীকারী ব্যক্তি নিজেকে সিলেট মহানগর যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব চৌধুরী মাধব বলে পরিচয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেয়ায় শুক্রবার ২ হকারকে মাধব উঠিয়ে নিয়ে যায়।
পরে রাত ১০টার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে হকাররা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
এ বিষয়ে সিলেটের হকার্স ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন রুবেল জানান, সিলেট মহানগর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাধব একজন সন্ত্রাসী। কয়েক দিন থেকে আমাদের নিরীহ হকারদের ধরে ধরে আনে আর ২-৩ লাখ টাকা চাঁদা চায়। তাদের সঙ্গে আমরা অনেকবার আপোষের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁর দাবি, তাকে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হবে ১ লাখ টাকা করে। আজকে আমাদের হকরাদের ধরে নিয়ে গেছে।তাদেরকে এনে দিতে হবে এবং এই মাধবকে এখন গ্রেফতার করতে হবে। এমনকি বিএনপি থেকে মাধবকে বহিষ্কার করার দাবি জানাই।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, আধা ঘণ্টার মতো সড়ক অবরোধ ছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমি দেখেছি দুজন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হাত তোলা হয়েছে। পুলিশ তো সড়কের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ছিল, তাদের ওপর কেন হাত তোলা হলো? এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সিলেট মহানগর যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব চৌধুরী মাধবকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত প্যাডে থাকে বহিষ্কার করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে সিলেট মহানগর যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব চৌধুরী (মাধব) কে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতের কোন ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
বিআরইউ