নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে (৭) হাত থেকে কোরআন ছুড়ে ফেলে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অব কোম্পানীগঞ্জ নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এর আগে শনিবার সকালে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফারুক মিয়ার নতুন বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত মামলার আসামি হলেন ওই এলাকার প্রবাসী নুর নবীর ছেলে শাহরুখ (১৭)।
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সকালে স্থানীয় মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন ওই শিশু শিক্ষার্থী। পথে অভিযুক্ত শাহরুখ ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পথরোধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। এসময় শিশু শিক্ষার্থীর ডাক-চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করে স্থানীয় কিছু মাতব্বর। তারা ২০ হাজার টাকায় মীমাংসা ও কাগজে স্বাক্ষর দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ভুক্তভোগীর মা রোববার সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মানববন্ধনে ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অব কোম্পানীগঞ্জের উপদেষ্টা ইয়াছিন আহমেদ বলেন, পবিত্র কুরআন আবমাননাকারী ও শিশু ধর্ষণ চেষ্টাকারী শাহরুখকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, অভিযোগ পেয়ে আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চালানো হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে। খুব দ্রুতই আসামিকে গ্রেফতার করা হবে।
আরএস