মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দেবীনগরের কৃষক উত্তম সরকার প্রথমবারের মতো লেটুস চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন, যা এই অঞ্চলে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দিয়েছে।
লেটুসের সবুজ ও লাল রঙের গাছের সমারোহ দেখে মনে হবে, মাঠে জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা হয়েছে, তবে এটি আসলে লেটুস গাছের সৌন্দর্য।
লেটুস একটি জনপ্রিয় পাতা জাতীয় সবজি, যা সাধারণত সালাদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। শ্রীপুরের এই কৃষক আধুনিক প্রযুক্তি ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে লেটুস চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন।
দেশে ফাস্ট ফুডের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে লেটুসের চাহিদাও বেড়েছে, কিন্তু বর্তমানে মাগুরা জেলার বাজারে বাণিজ্যিকভাবে লেটুস চাষ শুরু হয়নি। ফলে, স্থানীয় ফাস্ট ফুড ব্যবসায়ীরা যশোর থেকে বেশি দামে লেটুস কিনে আনতে বাধ্য হন।
বিষয়টি মাথায় রেখে শ্রীপুরের কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উত্তম সরকার এখন জেলার একমাত্র লেটুস চাষী।
উত্তম সরকার জানান, "উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে ২০ শতক জমিতে লেটুস চাষ করেছি। চাষের ফলাফল অত্যন্ত ভাল হয়েছে এবং এখন অনেকেই আমার ক্ষেত দেখতে আসছে। তারা লেটুস চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।"
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, "লেটুস চাষে মানুষের আগ্রহ তৈরির জন্য আমরা জাতীয় পতাকার আদলে চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। যাতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে দেখতে পারে এবং লেটুস চাষে আগ্রহী হয়। শ্রীপুর অঞ্চলে মসলা জাতীয় ফসলের জন্য সুনাম রয়েছে, এবং আমরা আশা করছি এই নতুন উদ্যোগ কৃষিতে বৈচিত্র্য আনবে।"
এছাড়া, শ্রীপুর উপজেলার কৃষি বিভাগ আশা করছে, সঠিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে লেটুস চাষ বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হতে পারে, এবং এটি কৃষকদের জন্য নতুন আয়ের পথ তৈরি করবে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যদি লেটুস চাষ বাড়ানো যায় তবে তা কৃষকদের জন্য লাভজনক হবে।
এই সাফল্য শ্রীপুরের কৃষকদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এবং এটি দেশের কৃষি খাতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সহায়ক হতে পারে।
ইএইচ