মির্জাগঞ্জে ছাত্রদল কর্মীকে কুপিয়ে জখম করলো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পশ্চিম সুবিদখালী এলাকায় কাওসার খান (২৫) নামের এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের চত্রা সড়কের পাশে কাওসার খানের নতুন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রদল কর্মী কাওসার খান বর্তমানে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কাওসার খান উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের বেগমপুর এলাকার করিম খানের ছেলে এবং হারম্যান মেইনার কলেজের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত রাব্বি একই গ্রামের মো. মোস্তফা হাওলাদার এর পুত্র এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সুবিদখালী সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি প্রার্থী ছিল।

সূত্রে জানা যায়, কাওসার উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছিল। ছাত্রলীগ নেতা মো. রাব্বি সপ্তাহখানেক আগে কাওসারকে ফোন দিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় ঘুরাঘুরি কেন করে জানতে চায়। এ বিষয় নিয়ে ফোনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কাওসারের ঘরে আগুন দিবে বলে হুমকি দেয় ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি। রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাওসার নিজ ঘরে ইলেকট্রনিকের কাজ করছিল। এ সময় রাব্বি হাওলাদার দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে অতর্কিতভাবে কাওসারের মাথায় কোপ দেয়। কাওসারের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কাওসারকে উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

কাওসারের বাবা করিম খান বলেন, ছাত্রদল করায় রাব্বি শুধু শুধু আমার ছেলেকে আহত করেছে।
আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্ধসঢ়;বায়ক আবুল বাসার মোখলেছ জানান, কাওসার আমাদের ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হয়ে একজনকে কোপানো দূরের কথা রাব্বি কিভাবে এখনো রামদা-চাপাতি নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে এটা বোধগম্য নয়। প্রশাসনের নিকট আমরা দ্রুত এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে কথা বলতে রাব্বির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার জানান, বিষয়টি জেনেছি। আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

আরএস