মাগুরায় ইটভাটা মালিক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

মাগুরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৫, ০২:১০ পিএম

ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা,জরিমানা,ভাঙচুর ও বন্ধের প্রতিবাদে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, মাগুরা জেলা শাখা। ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন আইন, বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং কয়লা সংকট সমাধানের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে ইট মালিক সমিতির সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি জেলা শাখা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির  সভাপতি মো. মাসুদ হাসান খান (কিজিল)সাধারণ সম্পাদক তারেখ হোসেন তুরান।বক্তারা বলেন, ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং বর্তমানে কয়লা সংকট সমাধানের দাবি জানান।

পরে মাগুরা সদর  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং,পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে তারা জানান, দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি সহ সকল অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে আমরা ইটভাটার মালিকগণ বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপনে জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।এই শিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছে এবং ৫০ লক্ষ পরিবার তথা ২ কোটি মানুষের রুটি রোজীর ব্যবস্থা আমরাই করেছি, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোকগুলো বেকার হয়ে পড়বে।

এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ইটভাটার বিপরীতে ১ কোটি টাকার উপরে ব্যাংক লোন যা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। এই ভাটা সমূহ বন্ধ হয়ে গেলে সমুদয় ব্যাংক লোন অনাদায়ি থেকে যাবে। ইটভাটার মালিকগণ হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন। মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রেজিওয়ানা হাসান অত্যন্ত আন্তরিক হলেও বর্তমান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জিগজাগ ইটভাটার সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।আমরা আশা করছি মানীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার মাধ্যমেই ইটভাটা পরিচালনার একটি যৌক্তিক সমাধান হবে। সবার আগে ড্রাম চিমনী, ফিক্সড চিমনী ও লাকড়ি দিয়ে পোড়ানো ইটভাটা সম্পূর্ন বন্ধ করা সিদ্ধান্তে মাননীয় উপদেষ্টার সাথে আমরা একমত পোষণ করেছি। তবে জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হয়রানি বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট টেক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। কোনো ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।পরিবেশগত ছাড়পত্র,ডি.সি লাইসেন্স,ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স,ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু। নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেয়ার বিধান থাকতে হবে।

এ ছাড়া ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। উপরিউক্ত দাবি সমূহ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে আলোচনায় না বসলে আগামী ১১ ই মার্চ,২০২৫ ইং তারিখে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রেজিওয়ানা হাসান,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করার ঘোষণা দেন তাঁরা ।

বিআরইউ