‘পুলিশ জনতা হাতে হাত, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’— এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে জনগণের মাঝে পুলিশের সেবা দিতে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দুরুল হোদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তিনি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রন ও সব ধরনের অপরাধ রোধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
দুর্গাপুর থানাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি থানাকে দালাল ও তদবির মুক্ত করা বিষয়ে তিনি সাহসী কঠোর ভূমিকা পালন করে থানাকে দালাল ও খুষ মুক্ত করেছেন তিনি। যদিও তিনি থানা দালাল ঘুষ মুক্ত ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় একটি মহল ওসি মো. দুরুল হোদার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাতে তার পথ রুদ্ধ হয়নি, বরং আরও জোরালো গতিতে চলছে তার কার্যক্রম।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. দুরুল হোদা ২০২৫ সালের ৭ অক্টোবর দুর্গাপুর থানায় যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ী গডফাদারদের আটকের জন্য সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। এদিকে দুর্গাপুর থানার বর্তমান ওসি মো. দুরুল হোদা সার্বিক তৎপরতায় জনমনে প্রশান্তি ফিরেছে। একের পর এক মাদক সম্রাটদের আটকে সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এলাকার সচেতন মহল সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে এরকম জিরো টলারেন্স আশা করেন।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোনো সময়ের চাইতে এখন অনেকটাই ভালো। অপরাধ প্রবণতা নাই বললেই চলে। সদ্য যোগদান করা ওসি দূরুল হোদার অসাধারণ ভূমিকায় এখন সাধারণ মানুষ আর উদ্বিগ্ন নন। মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান লিটন বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে স্থানীয় থানা পুলিশের আরও বেশি ভূমিকা থাকে। যে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত উন্নত, সেই এলাকার মানুষের জীবনমান ততটাই উন্নত। থানার বর্তমান ওসি দূরুল হোদা যোগদানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকলে দুর্গাপুর উপজেলা জুড়ে শান্তির সুবাতাস বইবে নিঃসন্দেহে।
দুর্গাপুরের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওসি দুরুল হোদা বলেন, দুর্গাপুর বাসীর গর্ব করার মত অনেক কিছু আছে। তার মধ্যে, কিছু অসাধু মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে দুর্গাপুরের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আর তিনি এজন্য সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে চান।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের তৎপরতার কারনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পূর্বের ন্যায় এখন আর প্রকাশ্যে নারীদের ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও চালকদের আহত করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মত ঘটনা গুলো দুর্গাপুর থানা এলাকায় আর নেই। গর্ব করার মত দুর্গাপুর গড়তে তিনি সাংবাদিক এবং সচেতন দুর্গাপুর বাসীর কাছে থেকে সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশনা আশা করেন।
বিআরইউ