বাকেরগঞ্জে সরকারি হালট ও খালের জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম

বরিশালের বাকেরগঞ্জে সরকারি হালট ও খালের জায়গা দখল করে তিনতলা ফাউন্ডেশন করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ঢাপরকাঠী গ্রামের অব. প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের গাজী, সমাজসেবক হযরত আলী মীর ও জাহিদ মীর কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেয়েই ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত জমিতে কাজ বন্ধে লিখিত নোটিশ দিয়েছেন।

স্থানীয় হযরত আলী মীর জানান, আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ৩পুত্র মো. বাবুল হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও মো. কবির হাওলাদার যে জায়গায় পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন, সেখানে ২৯০ নং দাগ হালট ও ৩৫৭ নং দাগ কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সংরক্ষিত খাল হিসেবে নকশায় সংরক্ষিত। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধের নোটিশ পেয়েও তারা নির্দেশনা মানছেন না বলে অভিযোগ।

জানা যায়, উপজেলার ৬৮নং ঢাপরকাঠী মৌজার ৪০৭ নং খতিয়ানের ২১৬ নং দাগের দক্ষিণ পাশ এবং ৩১৫ নং খতিয়ানের ৩৫০ নং দাগ ও ১০৫ নং খতিয়ানের ৩৫১ নং দাগের মধ্যবর্তী ২৯০ নং দাগ হালট ও ৩৫৭ নং দাগ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সরকারি খাল হিসেবে নকশায় সংরক্ষিত জমির ওপর তিনতলা পাকা ঘর নির্মাণ করছেন মো. হুমায়ুন কবির। এলাকার দুই শতাধিক লোকজন হালটটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতেন। কিন্তু ঘর নির্মাণ করায় চলাচলে বিঘ্নসহ কৃষিপণ্য পরিবহণ করতে পারছেন না বলে জানান তাঁরা।

স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক সিকদার বলেন,  সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হাওলাদারসহ স্থানীয় লোকজন জমি মাপলেও অবৈধ দখলকারীরা ঘর নির্মাণ করেই যাচ্ছেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত বাবুল হাওলাদার বলেন, কয়েক বছর থেকেই ওই জমি ভোগদখলে আছেন তাঁরা। জমির দলিল তার বাবা মায়ের নামে। কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার-ভূমি তন্ময় হালাদার বলেন, সরকারি জমি যতটুকু দখল হয়েছে, তা পরবর্তী উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলে তিনি জানান।

আরএস