টুঙ্গিপাড়ায় গণমাধ্যমকর্মীকে মারধর

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় সেনাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে কয়েকজনকে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে এক গণমাধ্যমকর্মীকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।

সোমবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদের পাশের এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত গণমাধ্যমকর্মী রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি এবং বর্ণি ইউনিয়নের বাসিন্দা।

আহত গণমাধ্যমকর্মীর মা কুমকুম বেগম জানান, গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানোর মামলার আসামিরা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি গ্রামের বাসিন্দা। সেনাবাহিনী তাদের ধরতে বর্ণি গ্রামে দুইবার অভিযান চালিয়ে কিছু আসামিকে গ্রেপ্তার করে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা জামিনে মুক্তি পায়, আর তাদের ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে রকিবুলকে মারধর করে আহত করা হয়।

তিনি বলেন, "আমরা এলাকায় সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।"

আহত সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি জানান, সংবাদ সংগ্রহ শেষে সোমবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে মন্টু মুন্সী ও জিকরুল মুন্সীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন তার ওপর হামলা করে। তাদের সন্দেহ ছিল যে, রকিবুল সেনাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে আসামিদের ধরিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, "হামলার পর আমি ৯৯৯ এ ফোন করি এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের জানালে তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হামলাকারীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এর আগে তারা আমাকে হুমকি দিয়েছিল।"

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেন, "গণমাধ্যমকর্মী রকিবুল ইসলাম আফ্রিদির ওপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, আমরা তার প্রতিবাদ জানাই এবং এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।"

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিকরুল মুন্সির মোবাইলে বারবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়, তাই তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, ৯৯৯ এ ফোন পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ