জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে নরসিংদীতে মানববন্ধন করেছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা নির্বাচন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের অধীন থেকে এনআইডি কার্যক্রম অন্য কোনো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হলে তা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে। ৮ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত বিশাল ভোটার ডেটাবেইজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনেরই থাকা উচিত। ১৩ কোটি ভোটারের তথ্য ২৫টি ধাপে সুরক্ষিত রয়েছে, যা কমিশনের একান্ত সম্পদ।
তারা আরও বলেন, ভোটারদের অনুমতি ছাড়া এ তথ্য অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা গ্রহণযোগ্য নয়। এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে না থাকলে ভোটার হওয়ার আগ্রহ কমে যাবে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের বক্তব্য
নরসিংদী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহীন আকন্দ বলেন, "ভোটার তালিকার ডাটাবেজ থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রমের সূচনা। গত ১৭ বছর ধরে নির্বাচন কমিশন সফলভাবে এনআইডি সেবা পরিচালনা করে আসছে। এটি আমাদের নিজস্ব সম্পদ ও সন্তানের মতো মূল্যবান। কিন্তু কিছু মহল জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের বাইরে নিয়ে গিয়ে নতুন একটি কমিশন গঠনের ষড়যন্ত্র করছে। এর প্রতিবাদে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচির আওতায় আমরা মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করছি। আশা করছি, সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সহমত পোষণ করবে।”
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ভূঞা, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক, বেলাব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোমা যাদব, মনোহরদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাসিদুল ইসলাম, রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউল হক, শিবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারিজা নূর।
বক্তারা সবাই জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনেই রাখার দাবি জানান এবং ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ইএইচ