যশোরের অভয়নগরে সহপাঠীদের সঙ্গে সাইকেল চালানো নিয়ে মারপিটের ঘটনায় ইসমাইল হোসেন (১২) নামে এক মাদরাসাছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে কল্লোল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ইসমাইল হোসেন গুয়াখোলা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। সে উপজেলার বুইকারা গ্রামে বাঘাবাড়ি ফয়েজিয়া কওমী মাদরাসার ছাত্র ছিল।
মৃতের মা হাসনা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে বাড়ি ফেরে ইসমাইল। এসময় সে আমাকে বলে, তার সহপাঠী আবু হুরাইরা সাইকেল চালানো নিয়ে তাকে মারধর করেছে। এই মারধরের বিচার করতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে মারপিটের বিচার আমি কি করে করব এ কথা বলার পর সে ঘরের ভেতরে চলে যায়। কিছু সময় পর ঘরে গিয়ে দেখি জানালার গ্রীলের সঙ্গে গলায় আমার ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ইসমাইল ঝুলে রয়েছে। দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবির হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই মাদরাসাছাত্র ইসমাইলের মৃত্যু হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে।
বাঘাবাড়ি ফয়েজিয়া কওমী মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মনির হোসেন বলেন, ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে সাইকেল নিয়ে সহপাঠীর মারপিটের বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মৃত মাদরাসাছাত্রের সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিআরইউ