নোয়াখালীতে কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ২

ইমাম উদ্দিন আজাদ, নোয়াখালী প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১৫তম ব্যাচের এক ছাত্রীকে (২১) সিএনজি চালিত অটোরিকশায় শ্লীলতাহানি ও হেনস্তা করার ঘটনায় দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

এ ঘটনায় আসামিদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, উপজেলার নাজিরপুর এলাকার রাজুর ছেলে রবিন (২০) ও আলাইয়াপুর ইউনিয়নের শহীদুল ইসলামের ছেলে আরাফাত হোসেন অন্তর (২৩)।

শুক্রবার বিকালে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, একই দিন দুপুরে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার নাজিরপুর এলাকার নূর হোসেনের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১২ মার্চ নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ইফতার মাহফিল শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মাইজদী বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি সিএনজিতে ওঠেন ওই কলেজের ছাত্রী। কিছু পথ যাওয়ার পর সিএনজির ভিতরে থাকা ৫ জন পুরুষের মধ্যে একজন তার মুখ চেপে ধরে এবং বাকি ৪ জন ছাত্রীটির কোলে বসে পড়ে। এর কিছু সময় পর, আরও ১ জন সিএনজিতে ওঠে এবং সবাই মিলে তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা ও শ্লীলতাহানি করে, পরে তার চোখে রাসায়নিক দ্রব্য মাখিয়ে দেয়। এসময় তারা ছাত্রীর ব্যাগ থেকে টাকা, একটি এটিএম কার্ড ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। মোবাইলের পাসওয়ার্ড ও বিকাশ পাসওয়ার্ড দিতে বাধ্য করে তাকে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, তারা ছাত্রীকে সিএনজিতে করে কলেজ গেট থেকে একলাশপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় আধা ঘণ্টা ঘুরিয়ে নির্জন স্থান খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমকে একলাশপুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে সিএনজি থেকে নামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যেতে চেষ্টা করলে ছাত্রীটি শোর চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

ইএইচ