ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রার অবরুদ্ধ

হেলাল মজুমদার, ভেড়ামারা প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন সাব-রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন সরকার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাত্র-জনতা ও ভুক্তভোগীরা তাকে ভেড়ামারার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নিজ কার্যালয়ে আটকে রাখেন।

একপর্যায়ে রাত ১১টায় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনোয়ার হোসাইন ও ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে বোরহান উদ্দিনকে কার্যালয় থেকে বের করে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, বোরহান উদ্দিন দৌলতপুর উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে বৃহস্পতিবার ছিল তার প্রথম কার্যদিবস।

ঘটনার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ছাত্র-জনতা ও ভুক্তভোগীরা সাব-রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে দলিলের ভুল সংশোধনের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং সহকারীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম সাধারণত বিকেল ৩টার মধ্যে শেষ হয়। তবে তিনি কিছু দলিল রেখে দেন ইফতারের পর রেজিস্ট্রির জন্য। এসব দলিল রেজিস্ট্রির সময় সহকারীর মাধ্যমে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে জনতার চাপে তিনি অতিরিক্ত দলিলগুলো সম্পন্ন করেন।

পরানখালি এলাকার বাসিন্দা রাকিব হোসেনের বরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন জানান, এক আত্মীয়ের দলিলে ভুল সংশোধনের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের সহকারী ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন, যার কল রেকর্ড তাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন সরকার বলেন, “আমি কোনো ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত নই। জনগণের উপকার করতে গিয়েই ফেঁসে গেছি। যাকে আমার সহকারী বলা হচ্ছে, সে আমার আত্মীয়। তার মোবাইল নম্বর আমার কাছে নেই।”

ভেড়ামারার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

ইএইচ