শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে দুই বন্ধুর মৃত্যু

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৭:১১ পিএম

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

নিখোঁজের প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আসাদুজ্জামান আসাদ (১৭) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে।

এর আগে শুক্রবার ন্ধ্যায় নিহাদ ইসলাম (১৮) নামে আরেক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছিল ফায়ার সার্ভিস।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীরচর এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামে চার বন্ধু। তাদের মধ্যে দুজন তীরে উঠতে পারলেও আসাদ ও নিহাদ পানির স্রোতে তলিয়ে যায়।

নিহত আসাদুজ্জামান আসাদ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি এলাকার কামরুল হাসানের ছেলে এবং নিহাদ ইসলাম ভোলার সদর উপজেলার কোরালিয়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে।

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া দুই বন্ধু হলেন রেজাউল তানভীর (১৮) ও সামির খান (১৭)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, আসাদুজ্জামান ও রেজাউল ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীরচর এলাকার প্রাণ-আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চাকরি করতেন। সামির ও নিহাদ ঢাকা থেকে তাঁদের দেখতে এসেছিলেন। ছোটবেলায় চারজনই রাজধানীর পল্লবী এলাকায় একসঙ্গে বড় হয়েছেন।

বেঁচে ফেরা দুই বন্ধু জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তারা চারজন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ইফতার করতে যান। পরে বিকেল ৪টার দিকে গোসল করতে নামলে পরস্পরের দিকে পানি ছুড়ে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে স্রোতের টানে একজন ডুবতে গেলে আরেকজন তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে পানির নিচে তলিয়ে যান। সাঁতার না জানায় অন্য দুই বন্ধু তীরে উঠে স্থানীয়দের খবর দেন।

বিকাল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যার দিকে নিহাদের মরদেহ উদ্ধার করে। রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও আসাদুজ্জামানকে পাওয়া যায়নি।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নতুন করে অভিযান শুরু করে এবং বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ আসাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

পলাশ থানার পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

ইএইচ