ভিজিএফের চাল বিতরণে ওজন কম দেয়ার অভিযোগ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার সকালে ১, ২, ৩, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়।

চাল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মো, নাদিম মোল্লা, দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মুকসুদ আলী, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ, সাবেক চেয়ারম্যান, স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

তবে চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন করগাঁও গ্রামের সিব্বির, জাকারিয়া এবং করগাঁও বাইচতার পাড়া গ্রামের খোকন।

তাদের দাবি, তারা চাল মিটারে ওজন করে দেখেছেন, প্রতি ১০ কেজির স্থলে ৮.২ থেকে ৮.৬ কেজি চাল পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার মুকসুদ আলী বলেন, "ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগকারী কয়েকজন বহিরাগত একটি ভুয়া মিটার ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। উপস্থিত সাংবাদিক ও ওয়ার্ড মেম্বারদের সামনে বাজারের আরেকটি মিটার দিয়ে পরিমাপ করা হলে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ১৫০-২০০ গ্রাম কম রয়েছে, যা সাধারণত গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে পড়ে।"

করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মো. নাদিম মোল্লা বলেন, "অসহায় ও দুস্থদের তালিকা তৈরি করে সুষ্ঠুভাবে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে সিব্বির, জাকারিয়া ও খোকনসহ কয়েকজন বহিরাগত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি ভুয়া মিটার ব্যবহার করে চালের ওজন কম দেখানোর চেষ্টা করেছে। আমি সেই মিটার চেক করতে চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং অতর্কিত হামলা চালায়।"

তিনি আরও দাবি করেন, "বাকবিতণ্ডায় জড়ানো সিব্বির ও জাকারিয়া চিহ্নিত মাদক কারবারি ও ভূমিদস্যু। তারা বিভিন্ন সময় এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং এখন চাল বিতরণ নিয়েও গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।"

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। অনেকেই প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ইএইচ