গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন হাসানপাড়া গ্রামে মৃত ফ্যালা মিয়ার পুত্র জাহিদুল মিয়া (৬০) এর বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার ১৬ মার্চ বিকালে উত্তেজিত জনতা জাহিদুল আটক করে বেদম প্রহর শেষে এলাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতিতে ছেড়ে দেয়।পরে উত্তেজিত জনতা তার বাড়ি ঘরে ভাঙচুর করে।
জানা যায়,১৬ রবিবার দুপুরে জাহিদুল মিয়ার বসত বাড়ির নিকটে ৫/৬ বছর বয়সের কয়েকজন সমবয়সি ছেলে মেয়ে খেলাধুলা করছিল। এরি মধ্যে জাহিদুল মিয়া একটি মেয়েকে কৌশলে তার ঘরের ভিতর ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মেয়েটি কাদঁতে কাদঁতে বাড়িতে গিয়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা জানায় তার মাকে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও মেয়েটির স্বজনরা জাহিদুলের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে সত্যতা স্বীকার করে। এতে উত্তেজিত জনতা তাকে বেদম প্রহর করে ও বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালায়। পরে তাকে গ্রাম ছাড়ার শর্তে মুক্ত করে দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জাহিদুলের স্ত্রী বলেন, আমি মানুষের জমিতে আলু উত্তোলনের কাজ করতে ছিলাম। আমার বসতবাড়ি ঘরে ভাঙচুর করছে এলাকাবাসী এমন খবরে বাড়িতে এসে দেখি এলাকাবাসী আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে তছনছ করে দিছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে অন্যের দান করা জমিতে দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছি। আমার ছেলে মেয়েরা ঢাকা গার্মেন্টসে চাকুরি করে আমি মানুষের বাড়িতে কাজ কাম করে খাই। আমার স্বামীও মাঝে অন্যের বাড়িতে কামলা দেয়।ইতিপূর্বে আমার স্বামী কখনও এ ধরনের কাজ করে নাই।
একাধিক এলাকাবাসী জানায় জাহিদুল খারাপ চরিত্রের লোক ইতিপূর্বে সে আরো কয়েকটি ছোট বাচ্চাদের সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। মানসম্মানের ভয়ে কেউ প্রকাশ করেনি। এর বিচার দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকার করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
আরএস