মাগুরা আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সফল-এলজিইডি

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম

আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সফল এলজিইডি মাগুরা।মাগুরার অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। যার বর্তমান দায়িত্বে রয়েছেন পেশাগত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নির্বাহী প্রকৌশলী আ.ন.ম.ওয়াহিদুজ্জামান।যিনি উন্নত সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে এলজিইডির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে আধুনিক শহর ও গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা প্রদানে সরকার ঘোষিত সকল কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

পাশাপাশি দারিদ্র্য-বিমোচনের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও এলজিইডির বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি।এরই মধ্যে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য গ্রাম এলাকায় ১৫৫.৭০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ,২২৩.৫০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং ১০৫ মিটার ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন এর জন্য ০৩ টি গ্রোথসেন্টার ও গ্রামীণ হাট-বাজার উন্নয়ন করা হয়েছে।

পল্লী অঞ্চলে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাস করে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এলজিইডি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।এরমধ্যে উল্লেখ্য,উইকেয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু করে সময়ের পরিক্রমায় বর্তমান এলজিইডির পরিধি বিস্তৃত হয়েছে ব্যাপকভাবে।শ্রীপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে আলোমখালী সাইএিশ মহাসড়ক সংলগ্ন সড়ক নির্মাণ চলমান রয়েছে এলজিইডির বিশাল কর্মযজ্ঞ।

ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর এন্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম (উইকেয়ার) ফেজ-০১: এলজিইডি আওতাধীন প্রকল্প মাগুরা জেলার অধীনে সদর উপজেলার কাটাখালী,আলমখালী ও আলোকদিয়ায় তিনটি গ্রোথ সেন্টার মার্কেট এবং ১৮ কিলোমিটার সংলগ্ন রাস্তার উন্নয়ন কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ (PVT) LTD & MD.মিজানুর রহমান - জে.ভি।চুক্তি অনুযায়ী কাজ শুরুর তারিখ ২০ জুলাই ২০২৩ সাল,চুক্তি অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ:১৯ জুলাই ২০২৫ সাল।তবে উক্ত সড়কটি নির্মাণ হলে মাগুরা সাইএিশ মহাসড়ক থেকে শ্রীপুর উপজেলা হয়ে লাঙ্গলবাঁধ নদীতে নির্মাণাধীন ব্রিজ
হয়ে বালিয়াকান্দী ও রাজবাড়ীর সাথে মিলিত হবে। যা কিনা কয়েকটি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার বাইপাস প্রধান সড়ক।

পল্লী অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ এবং হাট-বাজার ও গ্রোথ সেন্টার উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতেও এলজিইডি যে অবদান রেখেছে তা আজ দৃশ্যমান।এ জেলার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহের মধ্যে রয়েছে,১৬০কিঃ মি. কাঁচা সড়ক পাকা করণ।১১৩.৫৯কিঃমিঃ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ।১০৫ মি. কালভার্ট/ব্রীজ নির্মাণ।১৯৪টি সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন।০১ টি বৃহৎ ব্রীজ নির্মাণ।

এছাড়াও উইকেয়ার প্রকল্প আওতাধীন সড়ক নির্মাণ চলমান রয়েছে এ জেলায় ৬৫.৩ কিলোমিটার,৭টি ব্রীজ,৩৯টি কালভার্ট, এবং ৭টি গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ চলমান রয়েছে,এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ শত ৫১ কোটি টাকা।

নির্বাহী প্রকৌশলী আ.ন.ম.ওয়াহিদুজ্জামান জানান,মাগুরা জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে পেভার মেশিন দিয়ে কার্পেটিং সম্পূর্ণ করা হচ্ছে যা কিনা কাজের গুণগতমানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে নির্মাণাধীন সড়ক টেকসই ও স্থায়িত্বতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বর্তমানেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)মহা সড়ক থেকে গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশে কৃষি ও অকৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচন একই সঙ্গে এলজিইডি স্থানীয় সরকারসমূহের পরিচালন ব্যবস্থার মান উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এসবের মধ্য দিয়েই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশব্যাপী উন্নয়নের শক্ত ভিত নির্মাণ করেই চলেছে মাগুরা এলজিইডি।  

সংশ্লিষ্ট কাজে চাহিদা রয়েছে,ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা,সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন,ক্রমবর্ধিষ্ণু নগরে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন,পূর্ত কাজের গুণগত মান উন্নয়ন,সকল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সংহতকরণ।মাগুরার পল্লী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য রাস্তা,ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি নির্মাণের গুণগত মান উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দেয়া। উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিসি রাস্তার পরিবর্তে আরসিসি ও সিসি রাস্তা করাসহ যানজট নিরসনের জন্য অধিক সংখ্যক আন্ডারপাস/ওভারপাস নির্মাণ করা।

আরএস