মেলান্দহে ডিসি পরিচয়ে ‘চাঁদাবাজি’ করতে গিয়ে যুবক আটক

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ০১:১৬ পিএম

জামালপুরের মেলান্দহে ডিসি (জেলা প্রশাসক) পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে মো. সাজ্জাদ হোসেন সাকিব (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিুকল ইসলাম। এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের হরিপুর পাথালিয়া এলাকার থেকে ওই যুবক আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রাতে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আটক মো. সাজ্জাদ হোসেন সাকিব। তিনি ইসলামপুর উপজেলার মৌজাজাল্লা পাটনীপাড়া এলাকার মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে।

মামলার এজাহারে রেজাউল করিম উল্লেখ করেন, তিনি ভেকো দিয়ে নদী, খাল ও পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করেন। সম্প্রতি মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের চিনিতলা গ্রামের পাশে মরাখাল থেকে কন্ট্রাক্টে মাটি কাটার সময় ইসলামপুর উপজেলার পাটনীপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সাকিব, মেলান্দহ উপজেলার চাড়াইলদার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. সুরুজ প্রামাণিকের ছেলে মো. মনির হোসেন জুইসসহ কয়েকজন তার কাছে গিয়ে দাবি করে, তারা ডিসি ও ওসির সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করেছেন। এখন থেকে মাটি কাটতে হলে প্রতি সপ্তাহে তাদের ৩৩ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে চাঁদার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করা হলে রেজাউল করিম তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে আসামিরা তাকে হুমকি দেন এবং টানাহেঁচড়া শুরু করেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সাজ্জাদ হোসেন সাকিবকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। তবে মনির হোসেন জুইস কৌশলে পালিয়ে যায়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, আটক সাজ্জাদ হোসেন মানুষের কাছে নিজেকে ডিসি ও ওসির পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করছিলো। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশকে জানায়। আমরা তাকে জনতার হাত থেকে আটক করি।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এই ঘটনায় রেজাউল করিম একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছি। অপর পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে এর আগেও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বিআরইউ