ঝিনাইদহের মহেশপুরে আগুন পুড়ে পাঁচটি পরিবারের বাড়িসহ ঘরে থাকা সব কিছুই পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
সোমবার (১৮মার্চ)রাত ৮ টার দিকে মো. ইবাদত, মঙ্গল মন্ডল,মিরা খাতুন, আশিক, মিঠুনের বাড়িতে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনে ৫ পরিবারের বাড়িঘর, আসবাবপত্র, নগদ অর্থ পুড়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।ভুক্তভোগী পরিবারের সবাই মহেশপুর উপজেলার পৌর এলাকার নওদাগ্রামের বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮ টা দিকে হঠাৎ পোড়ার গন্ধ আসছে চারদিক থেকে। ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ও চারদিকে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। এমন অবস্থায় কোনো রকম প্রাণ রক্ষা পেলেও বাড়িঘর, আসবাবপত্র, নগদ অর্থ কিছুই রক্ষা পায়নি আগুনের লেলি শিখা থেকে।জানা যায়,ভ্যান চার্জে দেওয়ার পরে সেখান থেকে বিদ্যুতের শট সার্কিটের মধ্যে আগুনের উৎপত্তি হয়। পরে একে একে পাঁচ বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন নিয়ন্ত্রণ করার আগেই ৫টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।পরে ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,জীবনে রক্ষা পেয়েছি এটাই অনেক কিছু।মুহূর্তের মধ্যে পাঁচটি বাড়ির সব আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায়।আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও পারিনি।
ভুক্তভোগী ইবাদত হোসেন বলেন,সব আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেল আমাদের।একে একে পাঁচটি বাড়িতে আগুন ধরেছে। বাড়ির কিছুই বের করতে পারিনি।ঘরবাড়ি আসবাবপত্র,টাকা পয়সা সব পুড়ে গেছে।
ঝিনাইদহ-৩ মহেশপুর - কৌটচাদপুরের গণ মানুষের নেতা জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান আগুনে পুড়া পরিবারগুলো কে সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার কথা জানান। এছাড়া ও মহেশপুর উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে আসেন।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ভয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন ঘটনা শুনেছি।সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
বিআরইউ