পেকুয়ায় ভেঙ্গে গেছে সড়ক, দুর্ভোগে দু’ইউনিয়নের মানুষ

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম

পেকুয়া উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক কাটাফাঁড়ি ব্রিজ টু উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়ক। মগনানা ও উজানটিয়া এ দুই ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ এ গ্রামীন সড়কটি। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত বোঝাই করা ট্রাকের ভারে ধসে গেছে সড়কটি। মগনামা ধারিয়াখালী রুপাইখালের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সড়কটি দেবে গিয়ে পানির তোড়ে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

ফলে যে কোন ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার জনগণ। স্থানীয়রা আশঙ্কা করেছেন, ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে বিপুল পরিমাণ লবণ মাঠ। চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে সেখানকার শতশত লবণ চাষীরা।

জানা গেছে, মগনামা কাটাফাঁড়ি টু উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়কের মগনামার ধারিয়াখালী, রুপাই খাল, সোনালী বাজার স্লুইসগেটসহ চারটি অংশে ধসে গেছে। ধসে যাওয়া অংশের মধ্যে ধারিয়াখালী রুপাইখাল ও সোনালী বাজার স্লুইচগেট অংশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ দুটি অংশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যানবাহনগুলো।

স্থানীয় নুরুল আবছার, আবু তৈয়ব বলেন, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  প্রতিবছর রুপাইখালের অংশে সড়কটি দেবে যায়। বেশ কয়েকবার মাটি, কঙ্কর দিয়ে ভাঙ্গা অংশ সংস্কার করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ভেঙে গিয়ে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে নিদারুণ কষ্টে পড়ে দু ইউনিয়নের মানুষ। দুপুরে ট্রাকের ভারে সড়কটি ফের ধেবে গিয়ে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 
তাঁরা আরও বলেন, সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জোয়ারের পানিতে ধারিয়া খালী, দরদরি ঘোনা, কুমপাড়া, মগঘোনার লবণ মাঠ ও বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  সড়কের দ্রুত সংস্কার চাই।

মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, সড়ক দেবে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচল থমকে গেছে। বিশেষ করে উজানটিয়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পেকুয়ার প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কালভার্ট স্থাপনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আপাতত পানি আটকানোর কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মগনামা ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ভাঙন অংশ দ্রুত সংস্কার করার জন্য এলজিইডি প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত মাটি ভরাটের মাধ্যমে সংযোগ  স্থাপন করা হবে।

বিআরইউ