বগুড়ার নন্দীগ্রামে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা নিয়ে পালানোর সময় হাইওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে রাজশাহীর ডিবি পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ ড্রাইভার। তাদের কাছ থেকে নগদ দু্ই লাখ টাকা, ৭টি মোবাইল ফোন, ওয়াকি-টকি ও হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনোয়ারুজ্জান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিন সকাল ৬টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম এলাকার মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে পাঁচজন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আরএমপিতে কর্মরত ডিবি সদস্য।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল মাহবুর আলম, কনস্টেবল বাশির আলী এবং সিভিল ড্রাইভার মেহেদী হাসান। তাদেরকে ধুনট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা ধুনট থানার একজন কনস্টেবলের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত রোববার রাতে ধুনট উপজেলার দিগলকান্দি এলাকায় দুই ফ্রিল্যান্সারের বাড়িতে অভিযান চালায় রাজশাহীতে কর্মরত ডিবি সদস্যরা। দিগলকান্দির সেলিম শেখের ছেলে রাব্বি হাসান (১৯) এবং মৃত শেরবান খাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে (২৪) তুলে নিয়ে যায়। অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায়ী হিসেবে মামলার আসামি উল্লেখ করে মারধর করা হয়। ডিবি পরিচয় দিয়ে দুই ফ্রিল্যান্সারকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অভিযুক্তরা। তারা টাকা নিয়ে দুই ফ্রিল্যান্সারকে ছেড়ে দেয়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের গাড়িকে ধাওয়া করে স্থানীয় লোকজন। এ তথ্য পেয়ে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসায়। মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে মুক্তিপণের টাকাসহ হাতেনাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনোয়ারুজ্জান জানান, অন্যায়ভাবে দুইজনকে আটক করে টাকা আদায় করেছিল অভিযুক্তরা। তাদের এই কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। পুরো চক্রকে গ্রেপ্তারের পর ধুনট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিআরইউ