পাহাড়, পানি, পাথরের বিছানা কিংবা সবুজ চা বাগান, সব মিলে প্রকৃতিকন্যা সিলেট। সারা বছরই সিলেটে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও ঈদের ছুটিতে ঢল নামে। এবারের ঈদে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটকদের আগমন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও, পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। ঈদ মৌসুমে সিলেটের পর্যটন খাতে শত কোটি টাকার ব্যবসার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের কাছে সিলেটের জাফলং, সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাই, চা-বাগান পছন্দের শীর্ষে। অবসর পেলেই এসব স্পটসহ সিলেটজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ছোট পাহাড়-টিলা আর ঝরনা দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরা।
এ ছাড়া শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) মাজারেও প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন।
সাবেক সভাপতি, এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, গত কয়েক বছর বন্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সিলেটের পর্যটন খাত ছিল লোকসানের মুখে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এবার সেই ক্ষতি কাটিয়ে নেওয়ার আশা করলেও হঠাৎ করে ছিনতাই-ডাকাতির মত ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সিলেটে পর্যটকদের আগমন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স গ্রুপের সাবেক সভাপতি সুমাত নূরী চৌধুরী জুয়েল জানান, পর্যটকদের বরণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ঈদকে কেন্দ্র করে হোটেলগুলো নতুন করে ডেকোরেশন করা হয়েছে। পর্যটকদের হোটেল বুকিং নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজ হাসান ফেরদৌস জানান, এবার ঈদে সিলেটের স্পটগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকবে। ঈদে এই খাত থেকে শত কোটি টাকার ব্যবসার আশা করা হচ্ছে।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিটি স্পটে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। টুরিস্ট পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে স্পটগুলো ঘুরতে পারেন, সেজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে পর্যটকদের গাইডলাইনে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এবার ঈদে দীর্ঘ ছুটি থাকায় সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোতে অন্তত ৮ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইএইচ