বরিশালে ডাকাতদের ছবি ধারণ করায় এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাড়িসহ তার অনুসারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর কোর্ট কম্পাউন্ডে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হলে সোহেল রাড়িসহ ছাত্রদল নেতা আলমাস, ইমরানসহ ১০-১৫ জন নেতাকর্মী পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বরিশালের গণমাধ্যমকর্মীরা। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এমন হামলার ঘটনা গণমাধ্যমের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন নগরীর সচেতন নাগরিকরা।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এন আমিন রাসেল বরিশাল নগরীর একটি স্থানীয় গণমাধ্যমের ফটো সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্ট কম্পাউন্ডে ডাকাতি মামলার আসামিদের ছবি ধারণ করেন সাংবাদিক আলামিন। এ সময় কয়েকজন উত্তেজিত যুবক ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেলের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এন আমিন রাসেল বলেন, কয়েক দিন আগে বরিশালের বাবুগঞ্জে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেই ডাকাতি মামলার আসামিদের কারাগার থেকে বরিশাল আদালতে হাজিরা দিতে আনা হলে ছবি ধারণ করতে গেলে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাড়ি প্রথমে বাধা দেয়। পরে ছবি তুলতে থাকায় সোহেল রাড়ি, আলমাস, ইমরানসহ ১০-১৫ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী আমার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব হচ্ছে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করা। কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া গুরুতর অপরাধ। এতে অবাধ তথ্য প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ