ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা কাজী মনিরুল হক, তার ছেলে এবং এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পুলিশ।
শুক্রবার ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কাজী মনিরুল হক, তার বড় ছেলে কাজী সাগর এবং জাফর মিয়া।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের দায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৬ মার্চ রাতে অভিযান চালিয়ে কাজী মনিরুল হক, কাজী সাগর ও জাফর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় নদীয়া জেলার গাংনাপুর থানা পুলিশ। পরে ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) তাদের তিনজনকে রানাঘাট আদালতে পাঠানো হয়। তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনোরকম নথি ছাড়াই প্রবেশ করেছিল।
এদিকে, গত ২০ মার্চ রাতে ঢাকার আজিমপুরের একটি বাসা থেকে কাজী মনিরুল হকের বড় ছেলে কাজী সাগরের স্ত্রী তাহিয়া তাসনিম ওরফে ফিমার (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের দাবি, ফিমার গলায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন এবং শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন পেয়েছে, যা শ্বাসরোধ করে হত্যার ইঙ্গিত দেয়। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, তার স্বামী কাজী সাগরই তাকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার পরপরই কাজী মনিরুল হক তার ছেলে কাজী সাগরকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাজী মনিরুল হকের পরিবার এবং তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ জুন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কাজী মনিরুল হক। তিনি উপজেলার বানা ইউনিয়ন আওয়ামী-যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
ইএইচ