ঈদযাত্রা স্বস্তির হলেও ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছেন খোলা ট্রাক-পিকআপে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষজন। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে মানুষ ঘরমুখো হচ্ছে। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

তবে, যানবাহনের চাপ থাকলেও মহাসড়কে যানজট নেই এবং স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে যানবাহন। কিন্তু, প্রচন্ড রোদে যানবাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ।

ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রীরা যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস, লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করছেন। মহাসড়কে বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলেই বেশি দেখা গেছে। এছাড়াও, যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে।

পরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।

রাশেদ নামে এক যাত্রী জানান, "আমি বগুড়া যাচ্ছি। ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসলাম, কোন যানজট পাইনি। স্বস্তিতেই বাড়ি যাচ্ছি।"

সজীব মিয়া নামের অপর এক যাত্রী জানান, "বাড়ি যেতে আমাদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। এলেঙ্গা পর্যন্ত আসলাম ভালোভাবেই। গাড়ি স্বাভাবিক গতিতেই চলতেছে। পরিবহন সংকটের জন্য অনেকেই ট্রাক ও পিকআপে বাড়ি যাচ্ছেন।"

এলেঙ্গা বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা রাবেয়া খাতুন নামের এক যাত্রী জানান, "প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, গাড়ি পাচ্ছি না। গাড়ি পেলেও ভাড়া দ্বিগুণ চাচ্ছে।"

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ জানান, "মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও কোন যানজট নেই। স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে।"

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, "ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তি দিতে সাড়ে ৭’শ পুলিশ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত এবং জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে মহাসড়কে পরিশ্রম করছে।"

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক জানান, "সড়কপথে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।"

গত কয়েকদিনে যানবাহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পেলেও যানজট পরিলক্ষিত হয়নি। মহাসড়কে পুলিশের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনী ও র‍্যাবসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছেন।

ইএইচ