মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে সাদুল্লাপুরে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়

জালাল উদ্দীন, সাদুল্লাপুর প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৫, ১২:২৫ পিএম

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক জামালপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন ওই গ্রামের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা ও বহিরাগত মুসল্লিরা।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে শতাধিক নারী ও পুরুষ মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

২০১০ সালে শুরু হওয়া এই ঈদ জামাত দীর্ঘ ১৫ বছরে পদার্পণ করল। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক মাস সিয়াম সাধনার পর পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও ৩০ মার্চ, রবিবার ঈদ উদযাপন করা হয়।

নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এতে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাফুজার রহমান মাফু। আহলে হাদীস (সহিহ হাদিস) সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

ঈদ জামাতে অংশগ্রহণের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থান এবং জেলার বাইর থেকেও আহলে হাদীস (সহিহ হাদিস) সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ মোটরসাইকেল ও ভ্যানযোগে ঈদগাহ মাঠে আসেন।

ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মাওলানা লাইলাতুল কদর ইবনে আখির উদ্দিন। তিনি বলেন, "মধ্যপ্রাচ্যের ৫৪টি দেশের সঙ্গে মিল রেখে আমরা রোজা রাখি এবং ঈদের নামাজ আদায় করি। দুই রাকাত ঈদের নামাজ আমরা ১২ তাকবিরসহ আদায় করি এবং খুতবা আরবি ও নিজস্ব ভাষায় উপস্থাপন করি। আমরা কোনো নামাজেই সম্মিলিত মুনাজাত বা দোয়া করি না।"

নামাজ শেষে মুসল্লিরা যথানিয়মে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি সিরাজুল ইসলাম বলেন, "চাঁদের অবস্থান জেনে মক্কা-মদিনায় তথা সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা রাখা শুরু করি এবং সেই অনুসারে ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদ উদযাপন করি। সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আজ রোববার (৩০ মার্চ) একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করে ঈদ উদযাপন করছি।"

ইএইচ