বোয়ালমারীতে ১০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা শরিফে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা, ৯টা এবং সাড়ে ৯টায় অন্যান্য স্থানেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, জেলায় বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের কিছু মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা শুরু করেন, ফলে তারা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা শরিফে সকাল সাড়ে ১০টায় কয়েকশ’ মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়া রাখালতলি ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৯টায়, মাইটকুমরা জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং মাইটকুমরা লস্করবাড়ি জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলেরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, "সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা আগে ধলেরচর মাদ্রাসায় ঈদের নামাজ আদায় করতাম। কিন্তু আমাদের ইমাম মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা সহস্রাইল দায়রা শরিফে গিয়ে নামাজ আদায় করি।"

সহস্রাইল দায়রা শরিফের সমন্বয়কারী কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক বলেন, "চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি, গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের কিছু মানুষ একদিন আগে রোজা শুরু করেছিল এবং আজ (৩০ মার্চ) সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করলাম।"

শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, "ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের কিছু মানুষ দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা এবং দুটি ঈদ উদযাপন করে আসছে। তারা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।" তিনি আরও বলেন, "শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি এবং মাইটকুমরা মসজিদসহ ৪টি জায়গায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।"

ইএই্চ