মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামে মসজিদ কমিটির উত্তোলিত টাকার হিসাব চাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় আহত মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য মুন্সী মিরান হোসেনের (৪৩) মৃত্যু হয়েছে।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল এলাকায় ঈদের আগের দিন ৩০ মার্চ রাতে জেলা যুবদলের সদস্য মিরান হোসেন মল্লিক (৪৩) প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় আজ শনিবার রাতে তিনি মারা যান।
দীর্ঘ ছয় দিন পর এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।তার মৃত্যুতে মাগুরা জেলায় বিশেষ করে যুবদলে সহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরজন্য গভীর শোকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যুর খবর মাগুরা পৌঁছানোর পরপরই জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক শহরে মিছিল বের করে। যুবদল নেতার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত রোববার ৩০ মার্চ শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামের মসজিদ কমিটির এক বিরোধ থেকে শুরু হয় ঘটনা। ঈদের পূর্বে ওই কমিটি নিয়ে একটি ঝামেলা সৃষ্টি হয়। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় একদল দুষ্কৃতকারী মিরানকে নাকোল বাজারের কাছে অতর্কিত ভাবে হঠাৎ হামলা করে।এ সময় পিছন থেকে তাকে আক্রমণ করা হয়,ফলে তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে মিরানকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছয়দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে, অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু পুরো মাগুরা জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের শোকের ছায়া ফেলে দিয়েছে। মিরানের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই মাগুরা জেলা যুবদল বিচারের দাবিতে মিছিল বের করে।
এরপর রাত ১০ টার দিকে নাকোল এলাকায় এক সাবেক ইউপি সদস্য (ধলামেম্বারের) বাড়িতে প্রথমে ভাঙচুর পরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে কারা আগুন দেয় সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ সময় সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন, "এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মৃতের পরিবার থেকে অভিযোগ দায়ের করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিআরইউ