জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৭৮ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩টি টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ নানা জটিলতার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে।
রোববার সকালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ করে।
প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ, রাস্তার বৈদ্যুতিক খুঁটি, মসজিদ, কবরস্থান অপসারণ, ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণসহ চলমান কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ জোনের জামালপুর সড়ক বিভাগাধীন "জামালপুর জেলার দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬ কিলোমিটার ৪০০ মিটার সড়কের জন্য ৭৮ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৩ দশমিক ৮৪৬ টাকা নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ১টি কালভার্ট এবং ৯টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সড়ক জিএফডিপি (ইন্ট) শাখার প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-পি ডব্লিউ-০২ এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবেদ মনছুর সড়কটির নির্মাণ কাজ করছেন।
এ সড়কটির মধ্যে ৫০-৬০টি স্থাপনা, ৭০-৮০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি, ৫-৬টি পারিবারিক কবরস্থান এবং ৩টি জামে মসজিদ রয়েছে। এছাড়া, বৈদ্যুতিক পিলার সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অর্থ পরিশোধ করার পরও রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক পিলার স্থায়ীভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর ফলে সড়কটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হতে পারে না বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, সড়কটির আওতায় ৪০ শতাংশ ভূমি মালিকদের টাকা এখনো পরিশোধ করা হয়নি বলেও ভূমি মালিকরা অভিযোগ করেছেন।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বলেন, "জমি অধিগ্রহণ, রাস্তার বৈদ্যুতিক খুঁটি, মসজিদ ও কবরস্থান অপসারণসহ নানা জটিলতায় সড়ক নির্মাণ কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করার অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়।"
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস বলেন, "জমি অধিগ্রহণের কাজটি শেষ না হওয়ায় সড়ক নির্মাণ কাজ করতে কিছু সমস্যা হচ্ছে।"
ইএইচ