পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে দুটি ইটভাটা মেসার্স এমএস ব্রিকস ও মেসার্স কেএসবি ব্রিকসের চুল্লি নিভিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। লাইসেন্স না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশও দেয়া হয়। একইসঙ্গে ইটভাটা দুইটির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
গত ৪ই মার্চ দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ আদেশ দেন। এই সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ইট ভাটা দু`টির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে মালিকপক্ষ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় ভাটা চালুর বিষয়ে জনমনে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় ভাটা`র কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে মেসার্স এমএস ব্রিকস এর ম্যানেজার হান্নান বলেন, আমাদের অনেক কাঁচা ইট তৈরি করা আছে সেগুলো পুড়িয়ে বিক্রি করতেছি`। মেসার্স কেএসবি ব্রিকস এর ম্যানেজার হামিদ বলেন, প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় ভাটা চালু করার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না, কেন চালু হলো এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক বলতে পারবে, আমি চাকরি করি মালিক ভাটা চালাতে বলছেন তাই চলছে।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে রেগুলার আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী বলেন, আমরা পুনরায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক বলেন, ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইউএনও কে নির্দেশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, মেসার্স এমএস ব্রিকস এর ২০১৭ ও মেসার্স কেএসবি ব্রিকস’র ২০১৩ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন ছিল। এরপর থেকে ইটভাটা দুইটি অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
আরএস