হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ছাবু মিয়া হত্যা মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালে। মাধবপুর উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের মো. আলীর পুত্র এমরান মিয়ার সঙ্গে ছাবু মিয়ার স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সংঘবদ্ধভাবে এমরান মিয়াসহ পাঁচজন মিলে সম্পদপুর সাকিন এলাকার একটি হাওরের ধানক্ষেতে কুপিয়ে হত্যা করে ছাবু মিয়াকে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই হাফিজ মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় এমরান মিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন— মোহাম্মদ আলীর পুত্র এমরান মিয়া, মারাজ মিয়ার পুত্র সোলেমান, মৃত হুরমুজ আলীর পুত্র জাহেদ মিয়া এবং মুরাদপুর এলাকার আব্দুল মৌলার পুত্র আবুল মিয়া।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। মামলার বিচারকার্য শেষে বুধবার (৯ এপ্রিল) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২, হবিগঞ্জের বিজ্ঞ বিচারক দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় এবং ৩৪ ধারায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।
আসামি মারাজ মিয়া মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ কে এম কামাল উদ্দিন ও এ কে এম বজলুল আমীন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাসেল আহমেদ ও সামছু মিয়া চৌধুরী।
এদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহেদ মিয়ার পুত্র মুক্তার হোসেন দাবি করেন, “আমার বাবাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব এবং ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।”
ইএইচ