কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বিদ্যুৎবিহীন দুর্ভোগে রোগীরা, মেরামত হচ্ছে না জেনারেটর

সাইফুল ইসলাম, কাউনিয়া (রংপুর) প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। প্রায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা এই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে রয়েছে একটি ৫০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর, তবে সেটি প্রায় তিন বছর ধরে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে।

অজানা কারণে জেনারেটরটি এখন পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি, যার ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেলে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট কিংবা টর্চলাইটের আলোয় জরুরি বিভাগের রোগীদের ড্রেসিং ও সেলাই করতে হয়। তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনদের কষ্ট পোহাতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় স্বজনরা হাতপাখা, কাগজ বা কাপড় নাড়িয়ে রোগীদের গরম কমানোর চেষ্টা করছেন।

রোগীর স্বজনরা জানান, প্রতিদিন ৪-৫ বার লোডশেডিং হয়, যার ফলে হাসপাতালের শিশু, বৃদ্ধসহ সব রোগী গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দাবি, অন্তত বিদ্যুৎ না থাকলে ফ্যান চালানোর মতো জরুরি বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালের জেনারেটরটি তিন বছর আগে মেরামতের জন্য পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত তার কোনও হদিস মেলেনি। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

ভূতছাড়া থেকে আসা হাসান মিয়া ও চিকিৎসা নিতে আসা রুবেল মিয়া বলেন, “ইমারজেন্সিতে সেলাই দেওয়ার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। পরে মোবাইলের টর্চলাইট জ্বালিয়ে সেলাই ও ড্রেসিং করা হয়।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুজয় সাহা জানান, “হাসপাতালে একটি বড় জেনারেটর রয়েছে, যা সামান্য সার্ভিসিং ও তেল দিলেই ব্যবহার উপযোগী হবে। আমি যোগদানের (৮ মাস আগে) পর জানতে পেরেছি, হাসপাতালে আরও একটি জেনারেটর ছিল, সেটি ফেরত আনা হয়েছে। এটি কোথায় ছিল ও কী সমস্যা রয়েছে, তা জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা বলেন, হাসপাতালের এই দুরবস্থা দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। রোগীদের জীবনের ঝুঁকি ও দুর্ভোগ লাঘবে জেনারেটর মেরামত ও বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইএইচ