নাটোর জেলা আদালতের মালখানা থেকে ৬১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ১৯ কেজি রুপা চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এ ঘটনায় আদালতের পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে বরখাস্তকৃত এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন। তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
[311248]
তিনি আরও জানান, চুরির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শুরু করেছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। একই সঙ্গে চুরি হয়ে যাওয়া টাকা ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আদালত পুলিশের এক সদস্য মালখানার পেছনের জানালার গ্রিল ভাঙা দেখতে পান। পরে আদালত পরিদর্শক মালখানা খুলে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে খবর পেয়ে নাটোরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ শেখ মো. নাসিরুল হক এবং পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চুরি হয়ে যাওয়া টাকার মধ্যে সম্প্রতি সিংড়া উপজেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৭ লাখ টাকাও ছিল বলে জানা গেছে। পুলিশের ধারণা, মূলত ওই টাকাগুলো লক্ষ্য করেই চোর চক্র এই চুরির পরিকল্পনা করে।
মামলার বাদী মোস্তফা কামাল জানান, চোরেরা পেছনের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে লকারের তালা ভেঙে মালামাল নিয়ে যায়। একই সঙ্গে তারা সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক বক্সও খুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কর্তব্যরত ব্যক্তিদের অবহেলা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অবহেলা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএস