৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র তিন বছর চার মাস আগে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্মাণ ত্রুটির অভিযোগে সরেজমিন পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের একটি দল মহাসড়কের ১০৬ কিলোমিটার অংশ ঘুরে দেখে।
পরিদর্শনের সময় বিভিন্ন স্থানে উঁচু-নিচু ঢেউ, গর্ত ও খানাখন্দসহ নির্মাণ ত্রুটিগুলো প্রত্যক্ষ করেন তাঁরা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার।
তিনি বলেন, “৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মহাসড়কের দিনাজপুর জেলা সদর থেকে ফুলবাড়ী, বিরামপুর, ঘোড়াঘাট হয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৬৬ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। মানুষের জীবন ও যান চলাচল চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। মাত্র তিন বছর চার মাসের মাথায় একটি সড়কের এমন অবস্থায় পৌঁছানো কল্পনার বাইরে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি, আলামত সংগ্রহ করেছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের সঙ্গে থাকা অভিজ্ঞ প্রকৌশলীগণ প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ ও পরিমাপ করেছেন। এখন এগুলো দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত ১০৬ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪২ ফুট প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের জন্য ৮৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি ৯টি গুচ্ছের মাধ্যমে আটটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ১ জুলাই শুরু করে এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তা শেষ করে। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার দুই বছরের মধ্যেই রাস্তায় বড় আকারের ধস, গর্ত ও খানাখন্দ দেখা দেয়, যা নির্মাণ ত্রুটিরই প্রমাণ বহন করে।
ইএইচ