৩৫ জন কারাগারে

রাজবাড়ীতে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৪:০০ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে আদালত রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য ২৮ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেন। এ মামলায় জামিন আবেদনকারী অপর ৩৫ জন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য রাশেদুল হক অমি, রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর বর, মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আজম আলী মণ্ডল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা মো. সাজ্জাদুল কবির তানজিম, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডলসহ আরও অনেকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ কর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনের কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনার পর ৩০ আগস্ট ছাত্র রাজীব মোল্লা রাজবাড়ী সদর থানায় ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

পরে আরও দুটি মামলা হয়—একটি করেন শরীফুল ইসলাম, যিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রামের বাসিন্দা ও রাজবাড়ী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র। তিনি ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামিকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। অন্য মামলাটি করেন শিক্ষার্থী শাহীন ফকির, যিনি ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

রাজবাড়ী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাজী কেরামত আলীর ৭ দিনের রিমান্ড শুনানি ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, ৩৫ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন, তবে জামিন সংক্রান্ত নথি না থাকায় আদালত ৩০ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন এবং তাদের পুনরায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ইএইচ