কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের বাজারে উর্ধ্বগতি

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম

চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ অতিরিক্ত উৎপাদন হলেও কুষ্টিয়ার বাজারে এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রমজান মাসে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ বর্তমানে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন এক শ্রেণির অসাধু মজুদদারকে।

তারা জানান, কিছু ব্যবসায়ী চাষীদের কাছ থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনে গোপনে মজুদ করছেন। একইভাবে অনেক পেঁয়াজ চাষীও অধিক লাভের আশায় পেঁয়াজ বাজারজাত না করে নিজ বাড়িতে মজুদ করে রাখছেন, ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।

ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে অনুপস্থিত থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে মূল্যবৃদ্ধিতে।

পেঁয়াজ চাষিরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবারও পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে, তাই তারা এখনই পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন না। কুষ্টিয়ার প্রায় প্রতিটি গ্রামে পেঁয়াজ মজুদের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

কুষ্টিয়া পৌর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “পেঁয়াজের আমদানি কম থাকায় দাম বাড়ছে। প্রতিদিনই প্রতি মণে ২-৪শ’ টাকা করে বাড়ছে।” অন্য এক ব্যবসায়ী কদম আলী বলেন, “পুরনো সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের অজুহাত দেখিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। তারা আগামী জুলাই-আগস্ট মাসে দ্বিগুণ দামে বিক্রির আশায় এখনই মজুদ শুরু করেছে।”

অন্যদিকে পাইকাররা অধিক দামে পেঁয়াজ কিনে বেশি দামেই বিক্রি করছেন, যার চাপে পড়ছেন ভোক্তারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাজার মনিটরিং কার্যক্রম প্রতিদিনই চালানো হচ্ছে এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তদারকির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইএইচ