১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে বহুদলীয় ব্যবস্থার স্থলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে।
সোমবার বিকেলে মিরপুর উপজেলাধীন বহলাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ইন্ডিয়া ও “র” এর তত্ত্বাবধানে নীল নকশার নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে বার বার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে তিনি তার পিতার পথ ধরে বাকশাল কায়েম করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি’র হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে প্রশাসন দিয়ে গুম করেছে হাসিনা। হাসিনার আমলে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। বিরোধী দলের প্রতি তারা কখনই সভ্য রীতিনীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধী দলের ঠিকানা। গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ৫ই আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এসব অপকর্মের জন্য বাংলার মাটিতে হাসিনার কঠোর বিচার হওয়া উচিত। পরিশেষে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান শাহীন। এসময় উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি’র হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে শাহজামাল মল্লিককে সভাপতি ও মাহবুব আলম হারছেনকে সাধারণ সম্পাদক করে বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।
আরএস