ফসলি জমি থেকে কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৫, ১২:১২ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় জোরালী মিয়া (৬৫) নামের এক কৃষকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের একটি ফসলি জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জোরালী মিয়া ওই গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার এশার নামাজের সময় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন দুপুরে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করার সময় ফসলি জমিতে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।

খবর পেয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়দের মতে, জোরালী মিয়ার পরিবারের সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার একটি গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। কয়েক মাস আগে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই হত্যা ও লুটপাটের মামলা চলমান রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পুরনো বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

নিহতের স্ত্রী আফিয়া বেগম বলেন, “আমার স্বামী এশার নামাজের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। আজ শুনলাম, মাঠে তার গলাকাটা মরদেহ পাওয়া গেছে। আমরা এই নির্মম হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

তার পুত্রবধূ ফিরোজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “পশ্চিমপাড়ার একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তারাই পরিকল্পিতভাবে আমার শ্বশুরকে হত্যা করেছে।”

ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “এর আগেও বিরোধের জেরে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।”

চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, “মরদেহের গলায় চিকন রশি পেঁচানো ছিল এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।”

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, “সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত নয়। আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি।”

ইএইচ