বিসিসির মেয়র ঘোষণার দাবি

ফয়জুল করীমের মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৫ মে

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র হিসেবে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে ঘোষণার দাবিতে দায়ের করা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও, দুপুরে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাসিবুল হাসান শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।

রায়ের তারিখ পেছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে তারা “ভুয়া ভুয়া” স্লোগান দিতে শুরু করেন এবং পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে আদালত চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে আদালতের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং বিক্ষুব্ধদের ফটক থেকে সরিয়ে দেন।

এর আগে সকালে একই দাবিতে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে মিছিল সহকারে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে জড়ো হয়ে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এতে করে সদর রোড ও আদালতের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে, যার ফলে পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ নাসের বলেন, “আজ রায় ঘোষণার দিন ছিল। তবে আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন ৫ মে। আমরা সেই রায়ের অপেক্ষায় আছি। যদি রায় প্রত্যাশিত না হয়, তবে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।”

চরমোনাইপন্থী নেতাকর্মীদের দাবি, ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে কারচুপি করে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করা হয়েছে। তারা সেই ফলাফল বাতিল করে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হাতপাখার প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানান। অন্যথায়, ‘দুর্বার আন্দোলন’ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ৮৫ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। অন্যদিকে, হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীম পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।

এদিকে, ২৩ এপ্রিল জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসও একই নির্বাচনের ফল বাতিলের দাবিতে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।

ইএইচ