গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় তুসুকা গ্রুপের ছয়টি কারখানায় তিন দিন আগে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ওই কারখানাগুলোর ১৯৭ জন শ্রমিককে ছাঁটাই (টার্মিনেশন) করা হয়েছে।
বুধবার সকালে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের নামের তালিকা কারখানার মূল ফটকে টানিয়ে দেওয়া হয়, যা দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান শ্রমিকরা।
তুসুকা কারখানার শ্রমিক এরশাদ মিয়া বলেন, “শুনে গেটে এসে দেখি আমার নামও তালিকায় আছে। অথচ আমি কোনো ভাঙচুর করিনি, শুধু ভিতরে অবস্থান করেছিলাম।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী শ্রমিক বলেন, “আমরা শুধু কাজ বন্ধ রেখে ভিতরে অবস্থান করেছিলাম। কোম্পানির কোনো ক্ষতি করিনি। তখন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, আমাদের ছাঁটাই করা হবে না।”
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তুসুকা গ্রুপের তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড এবং তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেডের শ্রমিকরা গত শনিবার বিভিন্ন দাবিতে অবৈধভাবে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে কর্তৃপক্ষ সোমবার (২১ এপ্রিল) থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ১৯৭ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। ছাঁটাইয়ের খবরে সকালে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা কারখানার গেটে জড়ো হন।
তুসুকা গ্রুপের পরিচালক তারেক হাসান বলেন, “শ্রম আইন অনুযায়ী ১৯৭ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাদের সব পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “তুসুকা গ্রুপ কিছু শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। শ্রম আইন অনুসারে তাদের সকল পাওনা পরিশোধ করবে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
ইএইচ