চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহে বাড়ছে রোগী, বিপাকে শিশু ও বৃদ্ধরা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় গত চার দিন ধরে বয়ে চলা মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহে শিশু ও বয়স্কদের অসুস্থতার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিশুরা ও বৃদ্ধরা। সেইসঙ্গে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, শনিবার বেলা ১২টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এর আগে শুক্রবার ৩৬ দশমিক ৮, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ২ এবং বুধবার সর্বোচ্চ ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদদের মতে, মঙ্গলবার থেকেই চুয়াডাঙ্গায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র এক জন চিকিৎসকের চারপাশে ২০-২২ জন রোগী ভিড় করছেন। অধিকাংশ রোগীই গরমজনিত রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালের ডায়রিয়া ও মেডিসিন ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার চারগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। অনেকে আবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে ফিরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মোমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম তার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘জরুরি বিভাগে প্রচণ্ড ভিড়। চিকিৎসকের পরামর্শে স্ত্রীকে ভর্তি করেছি। এখন অনেকটাই সুস্থ।’

সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের এক সেবিকা জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৫-২৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তারেক জুনায়েদ বলেন, ‘৫০ শয্যার জনবল দিয়ে আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করতে হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ জন রোগী ভর্তি থাকছেন, যা ধারণক্ষমতার চারগুণ বেশি। রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমরা প্রচণ্ড চাপের মুখে আছি।’

তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে কিছু পরামর্শ দেন ডা. তারেক। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে বেশি করে বিশ্রাম নিতে হবে, রোদ ও অতিরিক্ত গরম এড়িয়ে চলতে হবে এবং বাইরের খাবার এড়িয়ে বাসার তৈরি খাবার খেতে হবে।’

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তাই জনসাধারণকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিআরইউ