লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও তীব্র বাতাসের গতিতে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নানা স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঝড়ে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উপড়ে গেছে কয়েকশ’ গাছ। ঝোড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, গম ও ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।
কালীগঞ্জ ছাড়াও লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার ওপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হওয়া ঝড়ে মহাসড়কে গাছ পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
স্থানীয়রা জানান, রাত দশটার দিকে প্রথমে হালকা বাতাস শুরু হয়। এরপর হঠাৎ করেই প্রবল গতির ঝড় বয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে শতাধিক বাড়ির ছাউনি উড়ে যায় এবং গাছপালা উপড়ে পড়ে।
ঝড়ে কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ও কাকিনা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা জানান, ভুট্টা ও পাট ক্ষেতের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসে গাছ হেলে পড়ায় উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের কৃষক শাহ আলম বলেন, “হঠাৎ করে হালকা বাতাস শুরু হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝড়ে আমার পুরো বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এই ঘর মেরামতের জন্য সরকারের সাহায্য ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।”
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা জানান, "ভোটমারী ও কাকিনা ইউনিয়নে বেশ কিছু ঘরবাড়ি এবং উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থ ও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।"
ইএইচ