চট্টগ্রাম রাউজানে উপজেলার সাবেক সাংসদ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সম্মেলনের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাইজান। এর ধারাবাহিকতায় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা গোলাম আকবর খন্দকারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করেন।
আজ সোমবার রাউজান উপজেলা ও পৌরসভার বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠন উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকা ও পৌরসভার সমূহের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সামাশের আয়োজন করা হয়। রাউজান
পৌর সদর মুন্সিরঘাটাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে মাস্টার দা সূর্যসেন চত্বর হয়ে মুন্সিরঘাটা এবং রাউজান প্রেসক্লাব হয়ে জলিল নগরে গিয়ে শেষ হয়। গোলাম আকবর খোন্দকারের কুশপুত্তলিকা নিয়ে মিছিলে অংশ গ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হক। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাবের সুলতান কাজলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপি’র সদস্য আবু জাফর চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি নেতা বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদ, ফয়েজুল ইসলাম চৌধুরী টিপু, হাবিব উল্লাহ মাস্টার, আনিসুজ্জামান সোহেল সৈয়দ কামাল,রেজাউর রহিম আজম, মুসলেম উদ্দিন, আবু মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, নজরুল ইসলাম, ফরিদ আহমেদ, মোজাম্মেল হক, মাসুদ আলম, আরসাদ চৌধুরী, ইকবাল চৌধুরী, দিদার তালুকদার, ইউসুফ তালুকদার, শহীদুল ইসলাম, রাসেল খান, জুয়েল চৌধুরী, খোরশেদ আলম জিকু, সৈয়দ মো. তৌহিদুল আলম, নিজাম উদ্দিন সুজন, সাঈদ বিন রানা, মোজাহের আলম, লিটন মহাজন, ওমর ফারুক, আকরাম মিয়া, জানে আলম,সেলিম উদ্দিন, দিদারুল আলম, সোহেল উদ্দিন মিছিল সমাবেশ পরবর্তী গোলাম আকবর খোন্দকারে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।বক্তারা বলেন ‘বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে গোলাম আকবর খন্দকার উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক
পদে থাকার অধিকার রাখতে পারে না। ক্ষমা না চাইলে তাকে এবং তার অনুসারীদের রাউজানে অবাঞ্ছিত করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। তাছাড়া সংবাদ সম্মেলনে রাউজানে কোন কোন ইউনিয়নে অস্ত্র মজুদ আছে তা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন,
তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডগুলো মাটি কাটাকে নিয়ে তথ্য দেওয়ার প্রতিবাদে বক্তারা প্রশ্ন রেখে বলেন ‘ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর কি মাটি কাটার জন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।’
আরএস